Monday, November 17, 2025
Home Blog

‘ইন্টারন্যাশনাল নিউ স্টার’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে গেল পুরুস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

0

News Hungama:

পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজক ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউ স্টার’ –

 

মৌলালি যুবক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইন্টারন্যাশনাল নিউ স্টার’ আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক উৎসব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টলিউড ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রীর অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, চলচ্চিত্র নির্দেশক বাদল সরকার, পরিচালক ও সম্পাদক সৌমেন সেন,বিপ্লব ঘোষ, অমরনাথ সেন, অদিতি মুখার্জী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

 

ইন্টারন্যাশনাল নিউ স্টার’ আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভার দৃষ্টান্ত রাখার জন্য শতাধিক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়।

একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে পুরস্কৃত করা হয় সংস্কৃতি, সাহিত্য, সমাজসেবা, প্রশাসন সহ একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য শতাধিক ব্যক্তিকে।”

প্রাক্তন বিগ্রেডিয়ার তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়, শ্রী সুমন দাস (জেনারেল সেক্রেটারি, হিউম্যান রাইটস), বিপ্লব ঘোষ (অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস সেক্রেটারি, সিপিডিয়ার),বাদল বর্মন (বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও পুলিশ আধিকারিক), বরুণ চক্রবর্তী (বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক),কৌশিক গাঙ্গুলী (বিশিষ্ট সাহিত্যিক), সিরাজুল ইসলাম ঢালী (বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক), দিপা দাস (নজরুল গবেষক),সুব্রত চ্যাটার্জি (কবি),আরতি ঘোষ (লেখিকা),আমি কল্যাণী (লেখিকা),বাদল সরকার (বিশিষ্টপরিচালক), সুমন মুখার্জি (আকাশ আট এবং রবীন্দ্রভারতী টপার),দীপঙ্কর পোড়েল (বিশিষ্ট সমাজ সেবক),রুহুল আমিন,ইউসুফ মোল্লা।

 

ইন্টারন্যাশনাল নিউ স্টার’-এর পরিচালক ও সম্পাদক সৌমেন সেন জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বর্তমান প্রজন্মের একাংশ একদিকে যেমন বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তেমনই অন্যদিকে তারা সংস্কৃতি বিমুখ হয়ে উঠেছে। সংস্কৃতি বিমুখ এই তরুণ সমাজকে বই ও সংস্কৃতিমুখী করার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।

Senco Gold Limited More Than Doubles Profit in H1

0

News Hungama:

290.1 Cr, while PAT surged by 80% YoY to Rs. 153.4 Cr. Our H1 EBITDA margin expanded YoY by 310 basis points to 8.6% driven by a combination of strong brand image, pricing edge supported by improved product mix and higher stud ratio of 12%. Our inventory levels increased to Rs. 4309.2 Cr mainly due to the gold price rise of GML and stocking for Dhanteras Sale & New showrooms opened. Despite the capital requirements for this inventory, our balance sheet remains robust with Net Debt at Rs. 1578.4 Cr and a comfortable Debt-to-Equity ratio of 0.75 (including GML). Looking ahead, the strong festive sales in October 25 driving a YTD retail growth of 25% give us confidence for solid H2 performance. As we move into H2, our priority is to maintain this financial discipline, build up stock for upcoming wedding seasons and Q4 and ensure cash flow availability for business growth. The GML availability has improved, and we will enhance GML level back to 65% level to improve the blended ROI and maintain strict vigil on various levers of growth and operating efficiency to enhance ROE and ROCE by year-end.”

ন্যাশনাল এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে উপলক্ষে সচেতনতার বার্তা দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

News Hungama:

 

ন্যাশনাল এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে। এ উপলক্ষে এ বছর থিম “My Epilepsy Journey” এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণা ও বৈজ্ঞানিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানালেন খ্যাতনামা স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডঃ সৌরভ হাজরা।

তিনি বলেন, এপিলেপসি বা মৃগী কোনও অভিশাপ নয়; এটি একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসাযোগ্য স্নায়বিক ব্যাধি। সময়মতো রোগ নির্ণয়, নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং সঠিক সচেতনতার মাধ্যমেই অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

তিনি জানান, বিশ্বে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ এপিলেপসিতে আক্রান্ত, যার মধ্যে ভারতের অংশ প্রায় এক-ষষ্ঠাংশ। পশ্চিমবঙ্গে এ রোগের বার্ষিক হার প্রতি এক লক্ষ জনে ৩৮–৪২। জন্মের সময় দেরিতে কান্না, বিকাশজনিত সমস্যা, সংক্রমণ, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, রক্তে শর্করা বা সোডিয়ামের পরিবর্তন সবই রোগের গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি-কারক।

 

এপিলেপসি নিয়ে সমাজে বহু ভুল ধারণা বিরাজমান। যেমন রোগটি ছোঁয়াচে, অশুভ শক্তির প্রভাব, রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না বা বিয়ে সন্তান নেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, এসব কুসংস্কার ভুল। আধুনিক চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগীই কর্মক্ষম, স্বাভাবিক জীবন চালাতে সক্ষম।

তিনি জানান, “জুতো বা লোহার গন্ধ দিলে সিজার থেমে যায়” এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ অ-বৈজ্ঞানিক। এপিলেপসি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওষুধ, প্রয়োজনে সার্জারি, এবং সঠিক চিকিৎসা-অনুসরণ।

তিনি বলেন, সঠিক চিকিৎসায় প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী সিজার-ফ্রি জীবনে ফিরতে পারেন। আধুনিক সার্জারি ও নতুন ধরনের ওষুধ রোগ-নিয়ন্ত্রণকে আরও সহজ করেছে। প্রায় ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ প্রতিরোধযোগ্যও।

“ন্যাশনাল এপিলেপসি ডে-র লক্ষ্য কুসংস্কার দূর করা, রোগীদের পাশে দাঁড়ানো এবং সময়মতো চিকিৎসার গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া। এপিলেপসি লুকিয়ে রাখার নয়, বুঝে এগিয়ে চলার নাম। পরিবার ও সমাজ সচেতন হলে একজন রোগীও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন,” বলেন ড. হাজরা।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করল মণিপাল হসপিটালস কলকাতা

News Hungama:

কলকাতা, ১২ নভেম্বর ২০২৫: ভারতের অন্যতম শীর্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মণিপাল হাসপাতাল গ্রুপ-এর দুটি ইউনিট — ঢাকুরিয়া ও ইএম বাইপাস — বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে দুটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঢাকুরিয়া ইউনিটে চালু হয়েছে নতুন মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস, আর ইএম বাইপাস ইউনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচি। এই দুই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত অলিম্পিয়ান শ্যুটার ও অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত জয়দীপ কর্মকার।
দুই হাসপাতালের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করা — যেন সবাই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত জীবনযাপনের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। অনুষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বার্তা দেন।
মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস, ঢাকুরিয়া ইউনিটে একত্রিত হয়েছে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক — ডা. সুজয় ঘোষ (কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. অমল কুমার সিনহা (কনসালট্যান্ট – ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. মনোজিৎ কেতন মুখোপাধ্যায় (সিনিয়র কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. অনির্বাণ সিনহা (কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. উমাকান্ত মহাপাত্র (কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. সোহম তরফদার (কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি) এবং ডা. শিলাদিত্য নন্দী (কনসালট্যান্ট – এন্ডোক্রাইনোলজি)। এই ইনস্টিটিউট চিকিৎসার পাশাপাশি রোগী শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি রোগ নির্ণয়ের পর সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা পান। চিকিৎসক দল সার্বক্ষণিকভাবে রোগীদের পাশে থেকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবেন।
বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এখন এক বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ না করলে এই রোগের ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তাই বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র ও জনসচেতনতা প্রচার এখন অত্যন্ত জরুরি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. সুজয় ঘোষ বলেন, “ডায়াবেটিস আজ নির্দিষ্ট কোনো বয়সের রোগ নয়; এটি শিশু থেকে শুরু করে তরুণ ও প্রবীণ—সব বয়সের মানুষকেই প্রভাবিত করছে। বর্তমানে ভারতে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এবং এই সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস স্থাপনের উদ্দেশ্য হলো এই ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত চিকিৎসা প্রদান করা। উন্নত ডায়াগনস্টিক, চিকিৎসা দক্ষতা এবং রোগী শিক্ষাকে একত্রিত করে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়, সংগঠিত ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি জীবনধারা সহায়তা নিশ্চিত করতে চাই, যাতে মানুষ আরও স্বাস্থ্যকর ও সচেতন জীবনযাপন করতে পারেন।”
ইএম বাইপাস ইউনিটে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল একাধিক সচেতনতা কার্যক্রম। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘সুগার মনস্টার’ নামে একটি অভিনব ইনস্টলেশন, যা দৈনন্দিন খাবারে লুকিয়ে থাকা চিনি সম্পর্কে মানুষকে চাক্ষুষভাবে সচেতন করেছে। এই উদ্যোগটি পরিবার ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও, হাসপাতাল প্রকাশ করেছে একটি ডায়াবেটিস সচেতনতা বুকলেট এবং একটি তথ্য পোস্টার, যেখানে প্রাথমিক উপসর্গ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে সহজ ভাষায় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাসের বিশিষ্ট চিকিৎসকগণ — ডা. শুভঙ্কর চৌধুরী (সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান, ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. উত্তিও গুপ্ত (কনসালট্যান্ট, ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি), ডা. কৌশিক বিশ্বাস (সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি) এবং ডা. শেখ হাম্মাদুর রহমান (কনসালট্যান্ট, ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি)। তাঁরা দর্শকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ভাগ করে নেন।
আলোচনায় ডা. শুভঙ্কর চৌধুরী বলেন, “বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ডায়াবেটিস শুধুমাত্র একটি রোগ নয়; এটি আমাদের জীবনযাত্রা ও সমাজের পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। চিকিৎসা পদ্ধতিও বদলেছে—আগে যেখানে কেবল চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হতো, এখন গুরুত্ব পাচ্ছে প্রতিরোধ, শিক্ষা ও সচেতনতা। রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করা, সমন্বিত যত্ন ও নিয়মিত সচেতনতা বজায় রাখা—এই তিনটি বিষয়ই সফল ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার মূলভিত্তি। আমাদের লক্ষ্য হলো ডায়াবেটিস কেয়ারকে আরও সহজলভ্য, শিক্ষানির্ভর ও সমন্বিত করে তোলা, যাতে মানুষ নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন ও আত্মনির্ভর হতে পারেন।”
অলিম্পিয়ান ও অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত জয়দীপ কর্মকার বলেন, “মণিপাল হাসপাতালের মতো একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ডায়াবেটিস সচেতনতা হাসপাতালের বাইরেও ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস এবং সুগার মনস্টার-এর মতো উদ্যোগ শুধু চিকিৎসার দিক নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রেরণাও জাগিয়ে তুলছে। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি—ফিটনেস ও সচেতনতা পাশাপাশি চললে তবেই সমাজ হবে আরও সুস্থ।”
দিনের শেষে ইএম বাইপাস ইউনিটে মুখ্য অতিথি হাসপাতাল ভবনটি নীল আলোয় আলোকিত করে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-এর বৈশ্বিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেন। অন্যদিকে, ঢাকুরিয়া ইউনিট ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত নীল আলোয় সজ্জিত থাকবে—যা ডায়াবেটিস সচেতনতা ও যত্নে মণিপাল হাসপাতালের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতীক।

Kolkata Hosts Interactive Meet on Nalanda Literature Festival – 2025

News Hungama:

Dhanu Bihar, in association with the Centre for Indian Classical Dances, IGNCA,

Sahitya Akademi, Nalanda University, and Nav Nalanda Mahavihara University,

held an Interactive Workshop cum Press Meet on 5th November, 2025 at The

Bengal Club, Kolkata, to announce the upcoming Nalanda Literature festivel (NLF) – 2025.

The session was graced by Chief Guest and festival advisor Sh. Harshvardhan

Neotia who joined with Chairperson D. Aaliya, Trustee Dhanu Bihar, Festival

Director Ganga Kumar and others in unveiling the festival’s vision. The gathering

witnessed participation from members of the literary and artistic community,

media representatives, and cultural enthusiasts and writers, including. Shri Amar

Mitra; Shri Satyabrata Dey; Sh. Diwakar Singh; Ms. Gauri Basu; Shri Mehul

Mohanka; Shri Dinyer Mucaden, Mrs Rachita dey; Joy Mukherjee and many more

writers whose insights and experiences enriched the discussion on India’s literary

and linguistic diversity.

Sh. Harhvardhan Neotia said,”inaugural event has been held in close proximity of

Nalanda, Nalanda has been our crowning glory of our academic achievements, our

literature, our wisdom. . Unfortunately, in that tragic fire many centuries ago we

lost many valuable manuscripts that got destroyed but its nice that we are reviving

that wonderful tradition, we are reviving the knowledge that has embedded with

many scholars of our land which now continue to propagate and prosper and

under the banner and land of Nalanda, we are taking forward this legacy of

thinking, of debate, of discussion, of promotion which is very heartening.

D. Aaliya, Chairperson, said, “Nalanda stands for knowledge that liberates, not

just the mind, but also society. Through this festival, we wish to take the essence

of dialogue, dignity, and diversity to every corner of India. Kolkata’s warmth and

intellect reflect exactly what Nalanda represents, the courage to question and the

grace to listen.”

Sh, Ganga Kumar, shared, “We should not look at literature merely as history, but

rather view it like modern science — as a field that can generate employment and

innovation. It’s time to change our perspective and create something meaningful

for the younger generation. Nalanda has always represented a unique and holistic

approach to education. Imagine — even 2000 years ago, debate itself was a form

of learning. Nalanda taught the world about literature, knowledge, and

intellectual legacy. We should share that wisdom, talk about our rich past, and

build a platform that connects this heritage with opportunities for today’s youth..”

The event also highlighted the Nalanda Literature Development Programme,

running from September 2025 to March 2026, which aims to nurture creative

dialogue and cultural exchange leading up to the main festival. Apart from this,

Padma Vibhushan Dr. Sonal Mansingh joined the session online and appealed the

audience to join the Nalanda Literature Festival.

The Nalanda Literature Festival 2025 promises to be a grand confluence of India’s

intellectual and cultural heritage, bringing together voices from across the nation

and the diaspora at the historic sites of Rajgir, Nalanda, reaffirming India’s

timeless spirit of knowledge and imagination.

“হাফ মুন এন্টারটেইনমেন্ট” নিয়ে এলো শিল্প-সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে নতুন খবর

News Hungama:

কলকাতা 5th November:

হালকা শীত কলকাতার দিকে এগিয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আগামীতে মানব-মানবী প্রকৃতির রঙিন রূপ দেখতে চলেছে আরো। শিল্প-সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে ঠিক এই সময়ই নতুন খবর নিয়ে এলো “হাফ মুন এন্টারটেইনমেন্ট।

এই প্রোডাকশন হাউজের দুটি ভিডিও অ্যালবাম এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশে আত্মপ্রকাশ করল।

গীতিকার, কাহিনীকার এবং পরিচালক রাজা ব্যানার্জি জানালেন, এই অ্যালবামে গানে লিপ দিয়েছেন কল্যাণী মন্ডল, ভাস্বর চ্যাটার্জি, কাঞ্চনা মৈত্র, অরত্রিকা ব্যানার্জি, প্রার্থিব ব্যানার্জি প্রমূখ।রাজা ব্যানার্জীর লেখা গানগুলো শ্রোতারা শুনতে পাবেন নচিকেতা চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী এবং এম তীর্থের কণ্ঠে।

 

ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র তৈরিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পর প্রযোজক শুভাশিস গাঙ্গুলী এবারে গানের অ্যালবাম তৈরিতে এগিয়ে এলেন। পাশে পেলেন একাধারে অভিনেতা এবং পরিচালক রাজা ব্যানার্জিকে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা জ্ঞানেশ মুখার্জির হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন রাজা। উপস্থিত শিল্পী এবং কলাকুশলীরা প্রত্যেকে আশাবাদী এই ভিডিও অ্যালবাম দুটির সফলতার পক্ষে।

দু’বার কিডনি প্রতিস্থাপন, তবু দু’বার মা — চিকিৎসার আশ্চর্য উদাহরণ মণিপাল হাসপাতাল, ইএম বাইপাসে

News Hungama:

কলকাতা, ৪ নভেম্বর, ২০২৫: মানবিক সাহস, আশার আলো ও আধুনিক চিকিৎসার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন মিজোরামের আইজলের ৩৭ বছর বয়সী লাললিয়ানপুই। দীর্ঘদিন কিডনি রোগের সঙ্গে লড়াই করে এবং দু’টি কিডনি প্রতিস্থাপন করানোর পর, তিনি স্বাভাবিকভাবে দুবার মা হয়েছেন—প্রথমবার ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০২৫ সালে। উভয় উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে মণিপাল হাসপাতাল, ইএম বাইপাসের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রোহিত রুংটা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নেফ্রোলজি ও ডঃ শিল্পীতা ব্যানার্জি, কনসালট্যান্ট, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ -এর দক্ষ তত্ত্বাবধানে।

লাললিয়ানপুই এক দশকেরও বেশি আগে ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হন এবং ২০১২ সালে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করান। পরে গ্রাফট রিজেকশন হওয়ায় ২০২০ সালে তাঁকে দ্বিতীয়বার প্রতিস্থাপন করতে হয়। আজীবন ইমিউনোস্যাপ্রেসিভ ওষুধ খেতে হলেও, শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জকে জয় করে তিনি দু’বারই স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করতে সক্ষম হন — যা অত্যন্ত বিরল ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অনন্য।

২০২৩ সালে তাঁর প্রথম গর্ভাবস্থায় তিনি এক সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর দুই বছর পর, ২০২৫ সালে, তিনি আবারও স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করেন এবং ৩৬ সপ্তাহ ৬ দিনে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে এক সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, যার ওজন ছিল ৩.২ কেজি। দুইবারের গর্ভাবস্থাই সফলভাবে সম্পন্ন হয়, কোনো বড় জটিলতা ছাড়াই, এবং তাঁর কিডনির কার্যকারিতা পুরো সময় স্থিতিশীল ছিল।

ডা. রোহিত রুংটা বলেন, “কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া রোগীর ক্ষেত্রে গর্ভধারণ খুবই বিরল ও জটিল। কারণ এই রোগীদের সারাজীবন ইমিউনোস্যাপ্রেসিভ ওষুধ নিতে হয়। লাললিয়ানপুইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষত্ব হলো, তিনি একবার নয়, দু’বার স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করেছেন, তাও দুটি প্রতিস্থাপনের পর। উভয় গর্ভাবস্থাতেই আমরা তাঁর কিডনি ফাংশন ও শিশুর বৃদ্ধিকে সমানভাবে নজরে রেখেছিলাম। এটি চিকিৎসা দলের পরিশ্রম, রোগীর সাহস এবং আশার এক অসাধারণ গল্প।”

ডঃ শিল্পীতা ব্যানার্জি বলেন, “একজন রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট রোগীর পরপর দুইবার গর্ভধারণ অত্যন্ত বিরল। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কভাবে নিতে হয়—ওষুধের মাত্রা, কিডনির সুরক্ষা, শিশুর বৃদ্ধি—সব কিছু নিয়মিত পর্যবেক্ষণে ছিল। রোগীর সাহস, বিশ্বাস এবং আমাদের টিমের সমন্বয়েই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে।”

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লাললিয়ানপুই বলেন, “দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগে এবং দুইবার ট্রান্সপ্লান্ট করানোর পর আমি কখনও ভাবিনি মা হতে পারব। কিন্তু ডা. রোহিত রুংটা ও ডঃ শিল্পীতা ব্যানার্জি অবিরাম যত্ন ও উৎসাহের জন্য আমি আজ দুই সন্তানের মা। তাঁরা আমাকে শুধু চিকিৎসা দেননি, নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহসও দিয়েছেন।”

লাললিয়ানপুইয়ের এই যাত্রা আজ অসংখ্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত নারীর কাছে এক অনুপ্রেরণা। এটি প্রমাণ করে যে চিকিৎসা দক্ষতা, অধ্যবসায় এবং বিশ্বাস থাকলে, অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে—একবার নয়, দু’বার।

2026 কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে। 22শে জানুয়ারি থেকে

News Hungama:

 

 

শারদ উৎসবের পরে এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। আগামী ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি, মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জী। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য গুণিজন। স্থান, বইমেলা প্রাঙ্গণ, সল্টলেক।

 

প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জীকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বইমেলায় সার্বিক সহযোগিতা ও প্রাঙ্গণের উন্নয়ন করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ নগরোন্নয়ন দপ্তর, কে এম ডি এ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পৌরসংস্থা সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কাছেও।

আপনারা সকলেই জানেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা পৃথিবীর বৃহত্তম পাঠকধন্য বই উৎসব। ২০২৫ সালের বইমেলায় এসেছিলেন ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ, বই বিক্রির পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা। মেলার এই অভাবনীয় সাফল্যে আমরা যেমন আনন্দিত, তেমনই  চিন্তান্বিতও। কারণ, আগামী বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক নতুন প্রকাশক আবেদন করেছেন। অথচ বইমেলা প্রাঙ্গণের পরিসর এতটুকুও বাড়ানো যায়নি। তদসত্ত্বেও গতবার আমরা সামান্য কিছু নতুন স্টল দিতে পেরেছি। তাই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগামী বইমেলায় স্টলের সংখ্যা আর বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এই প্রথম ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে আর্জেন্তিনা – যে দেশের সঙ্গে ভারত তথা বাংলার অতি নিকট সম্পর্ক। আমাদের বিশ্বাস, এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

আজ আমাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতে আর্জেন্তিনা দূতাবাসের দুজন প্রতিনিধি। বইমেলায় ফোকাল থিম হিসেবে অংশগ্রহণের বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে জানার জন্য আমরা উৎসুক হয়ে রয়েছি।

আগামী ২০২৭ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সুবর্ণজয়ন্তী। এই উপলক্ষে আমরা চাইছি, যেসব আলোকচিত্রী প্রথম ২০ বছর অর্থাৎ ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ অবধি ময়দানে আয়োজিত বইমেলার দুর্লভ সব ছবি তুলেছেন, তাঁদের আলোকচিত্রের একটি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী করতে। এইসব দুর্লভ ও স্মৃতিবিজড়িত ফটোর মধ্যে সেরা ১০ টিকে আমরা যথাযোগ্য মূল্যে পুরস্কৃত করব। ২০২৬ বইমেলার প্রেস কর্ণারে তাঁদের পাঠানো সব ছবিই মনোনয়ন সাপেক্ষে প্রদর্শিত হবে। আমাদের এটাও  ইচ্ছা, আগামী সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে এই ছবিগুলি বইমেলার স্মরণিকায় প্রকাশ করার। ই-মেলে স্বচ্ছন্দে আপনাদের সংগ্রহে থাকা যেকোনও বইমেলার ছবি পাঠাতে পারেন। ছবি পাঠাবার শেষ দিন ১০ ডিসেম্বর ২০২৫।

প্রতিবছরের মতো আগামী ২০২৬ বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পেরু, কলম্বিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ। আলোচনা চলছে আরও কিছু দেশের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২৬ এ আরও বেশি সংখ্যক দেশের উপস্থিতি আশা করছি। এছাড়া থাকছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের প্রকাশনাও, যেমন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাডু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা… ইত্যাদি। যথারীতি থাকবে লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন, চিলড্রেনস প্যাভিলিয়ন ও অন্যান্য আকর্ষণও।

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ, কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল,  KLF, অনুষ্ঠিত হবে ২৪ এবং ২৫ জানুয়ারি।

 

কলকাতায় উদ্বোধন হলো মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজি

News Hungama:

কলকাতা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫: ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মণিপাল হসপিটালস কলকাতা আজ শহরে শুরু করল নতুন বিশেষায়িত পরিষেবা কেন্দ্র — মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজি (MINU)। বেঙ্গালুরু, গোয়া, মাঙ্গালোর, জয়পুর, মণিপাল, পুনে, দিল্লি, গুরগাঁও, গাজিয়াবাদ ও বিজয়ওয়াড়ায় সফলভাবে পরিচালনার পর এটি এই বিশেষ শাখার একাদশ কেন্দ্র। আধুনিক প্রযুক্তি, অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগীকেন্দ্রিক পরিষেবার সমন্বয়ে এই ইনস্টিটিউটটি কিডনি ও মূত্রনালীর রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার একমাত্র গন্তব্য হবে।

উদ্বোধনের দিনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কিডনি ও ইউরোলজি স্বাস্থ্য, প্রতিরোধের উপায় এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মণিপাল হসপিটালস আবারও সমাজকল্যাণ ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি জোরালোভাবে তুলে ধরল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. এইচ. সুদর্শন বল্লাল, চেয়ারম্যান, মণিপাল হেলথ এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড; ড. উপাল সেনগুপ্ত, ডিরেক্টর ও ক্লিনিক্যাল লিড – নেফ্রোলজি, মণিপাল হসপিটাল ঢাকুরিয়া; ড. দিলীপ কুমার পাহাড়ি, ডিরেক্টর – নেফ্রোলজি, মণিপাল হসপিটালস ই এম বাইপাস; ড. অর্ঘ্য মজুমদার, ডিরেক্টর ও হেড – নেফ্রোলজি, মণিপাল হসপিটাল ঢাকুরিয়া; ড. অভয় কুমার, ডিরেক্টর – ইউরোলজি ও ইউরো-অনকোলজি, মণিপাল হসপিটালস ই এম বাইপাস; এবং ড. রঞ্জন সরকার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট – নেফ্রোলজি, মণিপাল হসপিটালস ব্রডওয়ে ইউনিট।

ড. এইচ. সুদর্শন বল্লাল বলেন, “কলকাতায় মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজির উদ্বোধন আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া এই স্বপ্নের প্রকল্প আজ দেশের ১১টি কেন্দ্রে সাফল্যের সঙ্গে চলছে। আমাদের লক্ষ্য এক ছাদের নিচে কিডনি ও মূত্রনালীর সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—সব রোগীর জন্য। মণিপাল হসপিটালস বিশ্বাস করে নিখুঁততা, সহযোগিতা ও উদ্ভাবনই উন্নত স্বাস্থ্যসেবার আসল ভিত্তি।”

ড. উপাল সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা এখানে কিডনি রোগীদের সার্বিক ও মানবিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। যারা ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন বোধ করেন, তাঁদের জন্য আমাদের মণিপাল অর্গান শেয়ারিং অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট (MOST) প্রোগ্রাম ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও সুসংগঠিত করে, রোগী ও পরিবারের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করে।”

ড. অভয় কুমার বলেন, “রোবোটিক সার্জারি এখন ইউরোলজির ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ভারতে বছরে প্রায় ৬০,০০০ রোবোটিক সার্জারি হয়, যার বেশিরভাগই ইউরোলজিক্যাল। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেশনের নির্ভুলতা বাড়ে, ব্যথা কমে ও রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমাদের লক্ষ্য কলকাতাকে উন্নত ইউরোলজি চিকিৎসার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।”

ড. দিলীপ কুমার পাহাড়ি বলেন, “ভারতে প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হলেও মাত্র ৫–৭ হাজারটি সম্পন্ন হয়। সচেতনতা, সময়মতো মস্তিষ্ক-মৃত্যু ঘোষণা ও অঙ্গদানের প্রসার ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি কেয়ার ও সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।”

ড. অর্ঘ্য মজুমদার বলেন, “চ্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) এখন বিশ্বজুড়ে এক নীরব মহামারী। ভারতে প্রায় ৭.৮ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অধিকাংশই দেরিতে তা জানতে পারেন। এই ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য প্রাথমিক স্ক্রিনিং ও সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের আরও কার্যকর সহায়তা দেওয়া।”

ড. রঞ্জন সরকার বলেন, “পর্যাপ্ত জলপান, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও লবণের পরিমাণ কমানো কিডনি রক্ষার মূল নিয়ম। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সময়মতো চিকিৎসাই দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রবীণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এখন খুবই প্রয়োজনীয়।”

ড. অয়নাভ দেবগুপ্ত, রিজিওনাল চিফ অপারেটিং অফিসার, মণিপাল হসপিটালস ইস্ট, বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য রোগীকে এক জায়গায় সমস্ত পরিষেবা দেওয়া — পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ফলো-আপসহ। এতে সময় ও মানসিক চাপ কমে, এবং রোগী দ্রুত সঠিক চিকিৎসা পান। মণিপাল হসপিটালস সবসময়ই মানুষের আস্থা ও যত্নের প্রতীক হিসেবে কাজ করতে চায়।”

এই উদ্বোধন ও সচেতনতা সেশনের মাধ্যমে মণিপাল হসপিটালস আবারও প্রমাণ করল — তাদের লক্ষ্য শুধু চিকিৎসা নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা ও সুস্থ জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা।

কিংবদন্তি, রোমাঞ্চ আর ভক্তির গল্প মানেই কলেজ স্ট্রিটের “ফাটা কেষ্টর কালীপুজো “

News Hungama:

কলকাতার কালীপুজোর ইতিহাস যত পুরনো, ততই তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি, রোমাঞ্চ আর ভক্তির গল্প ।

উত্তর কলকাতার ১২১, সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট অর্থাৎ কলেজস্ট্রিটের এক গলির মধ্যে প্রতিবছর যে পুজোটি হয়ে থাকে, সেটিই আজ ‘ফাটাকেষ্টর কালীপুজো’ নামে সমগ্র ভারতবর্ষে এক পরিচিত নাম।

 

এই পুজোর আয়োজক ‘নব যুবক সঙ্ঘ’। সারা দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে সাহিত্যিক সকল ক্ষেত্রের গুণীজনরাই এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী থাকেন। পুজো কমিটির সেক্রেটারি প্রবন্ধ রায় (ফান্টা দা) জানিয়েছেন যে এবার ৬৮ বছরে পদার্পন করেছে এই পুজো।

১৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুজোর শুভ সূচনা করা হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ ও অভিনেত্রী জুন মালিয়া ,বিধায়ক মদন মিত্র,অনুপম হালদার যুগ্ম কমিশনার আবগারিদপ্তর- পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, প্রাক্তন বিধায়ক সঞ্জয় বক্সী, কাউন্সিলার সাধনা বোস, কাউন্সিলার সুপর্ণা দত্ত, কাউন্সিলার বিস্বরূপ দে, অভিনেত্রী ও মডেল সাথী সরকার এবং এবছরের প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল।