News Hungama:
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫: মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোচিং প্রতিষ্ঠান আকাশ ইনস্টিটিউট আবারও তার শিক্ষাগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে। দেশজুড়ে আকাশের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ১৩৪ জন শিক্ষার্থী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াড (আইএনএমও) ২০২৬-এর জন্য সফলভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে, যা জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে।
এই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের অংশ হিসেবে আকাশ পশ্চিমবঙ্গ-এর তিনজন ক্লাস রুম শিক্ষার্থী—করণ শৌর্য বরণওয়াল, সোহম ঘোষ এবং শ্রমণা বাগ—দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ গণিত প্রতিযোগিতা আইএনএমও ২০২৬ -এর জন্য সফলভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াড (আইএনএমও) পরিচালনা করে হোমি ভাবা সেন্টার ফর সায়েন্স এডুকেশন (এইচবিসিএসই), টিআইএফআর। এটি আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) ভারতের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আইএনএমও-তে যোগ্যতা অর্জন শিক্ষার্থীদের অসাধারণ বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা, গভীর ধারণাগত স্পষ্টতা এবং উন্নত সমস্যা সমাধানের দক্ষতা কে প্রতিফলিত করে।
এই শিক্ষার্থীদের সাফল্য আকাশ ইনস্টিটিউটের শক্তিশালী শিক্ষাগত পরিকাঠামো, অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের দিক নির্দেশনা এবং সুসংগঠিত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার প্রমাণ দেয়, যা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে সহায়তা করে। সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, নিয়মিত মূল্যায়ন এবং ব্যক্তিগত মেন্টরিং-এর মাধ্যমে আকাশ শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই সাফল্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আকাশ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর মিঃ তিলক রাজ খেমকা বলেন, “আইএনএমও-তে যোগ্যতা অর্জনের জন্য গভীর গাণিতিক বোধ, ধারাবাহিক অনুশীলন ও শৃঙ্খলা অপরিহার্য। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এই উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এবং তাদের নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের ভূয়সী
প্রশংসা করি। পাশাপাশি, এই সাফল্যের পেছনে আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ এবং সহায়ক শিক্ষার পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও আমরা স্বীকার করি।”
আকাশ ইনস্টিটিউটের দেশজুড়ে অলিম্পিয়াড, জেইই, নিট এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শীর্ষস্থানীয় শিক্ষার্থী তৈরির একটি দীর্ঘ ও গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং তরুণ প্রজন্মকে তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অর্জনে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে নিরন্তর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

