News Hungama:
আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষ ২০২৫ উদযাপনকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ব্যাংক ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD)-এর পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যস্তরের সমবায় কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হলো কলকাতার নিউ টাউনের ইকোপার্কে অবস্থিত তাজ তাল কুটিরে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫০-র বেশি মানুষ, সমবায় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। এবারের কনক্লেভের মূল থিম ছিল “Cooperatives Build a Better World”।
রাজ্যের সমবায় ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে এদিন প্রকাশিত হয় একটি কফি টেবিল বুক, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠানের অর্জন ও উদ্ভাবনী দৃষ্টান্ত স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় একাধিক থিম্যাটিক সেশন ও আলোচনাচক্র।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, রাজ্যের সমবায় ও পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার,
নিরঞ্জন কুমার, রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটি,
শান্তনু দাস, ডিরেক্টর, কোওপারেটিভ অডিট,
শ্রী পি. কে. ভারদ্বাজ, চিফ জেনারেল ম্যানেজার, NABARD পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক দপ্তর প্রমুখ।
শ্রী পি. কে. ভারদ্বাজ বলেন, নাবার্ড সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক সহায়তা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ডিজিটাইজেশন, উদ্ভাবন এবং স্বচ্ছতাকে গ্রামীণ সমৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরেন।
সমবায় সংস্থাগুলির সম্মাননা প্রদান
অনুষ্ঠানে কম্পিউটারাইজেশন ও প্রযুক্তি গ্রহণে বিশেষ ভূমিকার জন্য পাঁচটি সেরা জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক (DCCB) এবং বেশ কয়েকটি PACS-কে সম্মানিত করা হয়।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সমবায় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নাবার্ডের ক্রেডিট সাপোর্ট, অবকাঠামো উন্নয়ন, PACS কম্পিউটারাইজেশন, গ্রিন বিল্ডিং উদ্যোগ, ডিজিটাইজেশন ও দ্রুত অডিট ব্যবস্থার প্রশংসা করেন।
তিনি আরও জানান, সমবায় কর্মীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, যুব অংশগ্রহণ এবং সক্ষমতা উন্নয়নে নাবার্ডের বিস্তৃত সহযোগিতা সময়ের দাবি।
শ্রী নিরঞ্জন কুমার রাজ্যজুড়ে সমবায় নির্বাচন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, PACS-এর কম্পিউটারাইজেশন এবং দ্রুত ডিজিটাল অডিটের ফলে সমবায় শাসনব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষ ২০২৫-কে সামনে রেখে MPACS-এর কাঠামোগত উন্নয়নে ন্যাবার্ডের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

