Monday, November 17, 2025
Homeস্বাস্থ্যন্যাশনাল এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে উপলক্ষে সচেতনতার বার্তা দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ন্যাশনাল এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে উপলক্ষে সচেতনতার বার্তা দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

News Hungama:

 

ন্যাশনাল এপিলেপসি অ্যাওয়ারনেস ডে। এ উপলক্ষে এ বছর থিম “My Epilepsy Journey” এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণা ও বৈজ্ঞানিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানালেন খ্যাতনামা স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডঃ সৌরভ হাজরা।

তিনি বলেন, এপিলেপসি বা মৃগী কোনও অভিশাপ নয়; এটি একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসাযোগ্য স্নায়বিক ব্যাধি। সময়মতো রোগ নির্ণয়, নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং সঠিক সচেতনতার মাধ্যমেই অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

তিনি জানান, বিশ্বে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ এপিলেপসিতে আক্রান্ত, যার মধ্যে ভারতের অংশ প্রায় এক-ষষ্ঠাংশ। পশ্চিমবঙ্গে এ রোগের বার্ষিক হার প্রতি এক লক্ষ জনে ৩৮–৪২। জন্মের সময় দেরিতে কান্না, বিকাশজনিত সমস্যা, সংক্রমণ, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, রক্তে শর্করা বা সোডিয়ামের পরিবর্তন সবই রোগের গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি-কারক।

 

এপিলেপসি নিয়ে সমাজে বহু ভুল ধারণা বিরাজমান। যেমন রোগটি ছোঁয়াচে, অশুভ শক্তির প্রভাব, রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না বা বিয়ে সন্তান নেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, এসব কুসংস্কার ভুল। আধুনিক চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগীই কর্মক্ষম, স্বাভাবিক জীবন চালাতে সক্ষম।

তিনি জানান, “জুতো বা লোহার গন্ধ দিলে সিজার থেমে যায়” এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ অ-বৈজ্ঞানিক। এপিলেপসি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওষুধ, প্রয়োজনে সার্জারি, এবং সঠিক চিকিৎসা-অনুসরণ।

তিনি বলেন, সঠিক চিকিৎসায় প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী সিজার-ফ্রি জীবনে ফিরতে পারেন। আধুনিক সার্জারি ও নতুন ধরনের ওষুধ রোগ-নিয়ন্ত্রণকে আরও সহজ করেছে। প্রায় ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ প্রতিরোধযোগ্যও।

“ন্যাশনাল এপিলেপসি ডে-র লক্ষ্য কুসংস্কার দূর করা, রোগীদের পাশে দাঁড়ানো এবং সময়মতো চিকিৎসার গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া। এপিলেপসি লুকিয়ে রাখার নয়, বুঝে এগিয়ে চলার নাম। পরিবার ও সমাজ সচেতন হলে একজন রোগীও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন,” বলেন ড. হাজরা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments