News Hungama:
কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের মর্যাদাপূর্ণ অশুতোষ বার্থ সেন্টেনারি হলে ৩ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, অনুষ্ঠিত হোলো রূপান্তর থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের “বঙ্গীয় নাট্য উৎসব ২০২৫”।

বাংলা থিয়েটারের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই উৎসব ছিল এক অনন্য উদ্যোগ।
বাংলা নাটকে আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত—‘শর্মিষ্ঠা’ ও ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকের মধ্য দিয়ে।
এই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে রূপান্তর থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের এই প্রয়াস ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
চার দিনব্যাপী এই উৎসবে বিভিন্ন নাট্যদল অংশগ্রহণ করে তাদের সৃষ্টিশীল ও আকর্ষণীয় নাট্যপ্রদর্শনী উপস্থাপন করেন। দর্শকসংখ্যা, আলোচনা এবং প্রতিক্রিয়া—সব মিলিয়ে এই প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবমুখর।
উপস্থিত অসংখ্য নাটকের মধ্যে বিশেষভাবে দর্শকদের মন কেড়েছে ‘অভিনেত্রী সংঘ’ নাট্য সংস্থার নাটক ‘ঢপের চপ’।
নাটকটির রচনা, প্রয়োগ, পরিকল্পনা, পরিচালনা ও অভিনয় সবই করেছেন পরিচিত বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্য শিল্পী পাপিয়া অধিকারী ও তাঁর দল।
তিনি জানান—১৯৫২ সালে ছবি বিশ্বাসের হাত ধরে ‘অভিনেত্রী সংঘ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন রাজ কাপুর। একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী দলের নেতৃত্বে পাপিয়া অধিকারী তৈরি করেছেন ‘ঢপের চপ’—যা নির্মিত হয়েছে “আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝরতে জানি” রচনার ভিত্তিতে।
নাটকের বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মের ১৫০ বছর এবং সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে—একটি ছোট্ট শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে।
সব মিলিয়ে “বঙ্গীয় নাট্য উৎসব ২০২৫” ছিল এক সফল ও বর্ণময় আয়োজন—যেখানে নতুন ও প্রবীণ নাট্যশিল্পীদের অসামান্য সৃষ্টিশীলতা যেন একত্রে মিলিত হয়ে এক সত্যিকারের চাঁদের হাট তৈরি করেছে।
দারুন চমক এই নাট্যাভিনায় হৃদয় ছুঁয়ে স্পর্শ করলো বাস্তব জীবন।

