Friday, October 24, 2025
Home Blog Page 10

IEEMA Expands Regional Presence: 41 West Bengal Companies Confirmed for ELECRAMA 2025, Membership Grows to 108 at the Back of Regional Initiatives

0

News Hungama:

Kolkata, December 17, 2024: The Indian Electrical & Electronics Manufacturers’ Association (IEEMA) hosted a power packed roadshow in Kolkata today to build excitement for the upcoming ELECRAMA 2025, the world’s largest platform for the electrical and allied electronics industry. The event highlighted the active participation of 41 members from West Bengal, reflecting the state’s growing prominence in India’s electrical sector.
Looking forward, IEEMA is preparing to host ELECRAMA 2025, the world largest electrical show, taking place from February 22 to 26, 2025. This upcoming edition promises to break new records with participation from over 1,100 exhibitors, an expected footfall of 400,000 business visitors, more than 15,000 B2B meetings, 600+ hosted buyers from 80 countries, and 10+ country pavilions on display.
West Bengal, with its rich industrial heritage, is witnessing an increase in IEEMA membership, which now stands at an impressive 108 members from the state. This growth is a testament to the Association’s commitment to strengthening its presence and fostering collaboration in the region.
Speaking at the event, Vikram Gandotra, President-Elect, IEEMA and Chairman, ELECRAMA 2025 said, emphasised the importance of West Bengal’s participation in the exhibition, “The growing membership in West Bengal reflects the state’s critical role in driving India’s electrical and allied electronics sector. With 41 members already confirmed for ELECRAMA 2025, we anticipate significant contributions from the state’s manufacturers, suppliers, and innovators. This participation underscores the potential of our regional players on a global stage.”

Talking on the IEEMA initiatives in the state, Charu Mathur, Director General, IEEMA highlighted that “IEEMA is focused on building stronger regional networks, and West Bengal has been a key focus area. The participation of so many members from the state at ELECRAMA 2025 demonstrates the success of these initiatives. Apart from ELECRAMA, we have been focusing on special initiatives in the Eastern region like Bengal Power Conclave, Connect North-East, E3 (Energize Empower East) and Odisha Power Conclave. We plan to grow more initiatives in the region and invite new members to be a part with us.”
Siddharth Bhutoria, Vice-President, IEEMA and Vice Chairman, ELECRAMA 2025 outlined the significance of the show, “ELECRAMA has established itself as an essential platform for the Indian energy and power sector to engage with global audiences, reflecting the industry’s growth and adoption of world-class technology. ELECRAMA 2025 is set to be the largest, most dynamic, and impactful edition to date, featuring Germany as the Focus Country and France as the Associate Partner Country, further enhancing its international appeal. This landmark event will showcase India’s leadership in the electrical and allied electronics sectors.”
ELECRAMA 2025, scheduled to be held in Greater Noida, will bring together industry leaders, innovators, and policymakers from around the world. With cutting-edge exhibitions, technology showcases, and networking opportunities, the event promises to serve as a springboard for the Indian electrical industry to achieve global excellence.
About IEEMA
IEEMA is the apex association of manufacturers of electrical and industrial electronics and allied equipment in India. Established in 1948, IEEMA is the first ISO-certified industry association, encompassing the entire value chain in power generation, transmission, and distribution equipment, including new and renewable energy sectors.
About ELECRAMA:
ELECRAMA is the flagship showcase of the Indian Electrical & Electronics Manufacturers’ Association (IEEMA), bringing together the complete spectrum of solutions that powers the planet from source to socket and everything in between. ELECRAMA is a platform to connect the world with the Indian industry in respect of technology, new trends, and innovation for future energy transition.
For more information about ELECRAMA 2025 and upcoming roadshows, please visit https://elecrama.com/.
Any Queries:
Nidhi Francis: nidhi.francis@ieema.org
Shreya Chopra: shreya.chopra@ieema.org

অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচাল মনিপাল হসপিটাল, ব্রডওয়ে : রোগীর শ্বাসনালী থেকে বার হল ধাতুর স্প্রিং

News Hungama:

কলকাতা, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪: কিছু কিছু রহস্য যেন রহস্যই থেকে যায় যতক্ষণ না সঠিক লোকের চোখে পড়ে। জামশেদপুরের ২১ বছর বয়সী সুফিয়ান আলীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ছিল সেরকমই। তবে তার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন অসুস্থতা আর মেডিক্যাল ক্ষেত্রে অসম্ভব পারদর্শিতার নিদর্শন দেখা গেল। দুই বছর আগে খুব কফের সমস্যা হতে থাকে তার, কিছু সময় পর রক্ত পড়তে থাকে কফের সাথে।

বিভিন্ন ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞর কাছে যান তিনি। তারা বেশ কিছু ওষুধ দেন, যার জন্য অস্থায়ী ভাবে রক্তপাত বন্ধ হয়। তবে প্রতি ৫-৬ মাস অন্তর কফ ফিরে আসছিল। গত মাসে কফ অনেকটাই বেড়ে যায় এবং তার সাথে মাঝে মাঝেই জ্বর আর ওজন কমা লক্ষ করা যায়। তখন তাকে মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়েতে যাওয়ার কথা বলা হয়, যেখানে ডঃ অপর্ণা চ্যাটার্জি, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট, রেসপিরেটরি মেডিসিন, মনিপাল হসপিটাল, ব্রডওয়ের অধীনে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। উপসর্গ দেখে শুরুতে বোঝাই যায়নি, যতক্ষণ না ছুঁচলো ধাতব স্প্রিংয়ের অস্তিত্ব – যা চোখে পড়েনি বা জানাও যায়নি আগে, ধরা পড়ল শেষমেশ শ্বাসনালীতে। এই ধাতব বস্তু পাওয়া গিয়েছিল ফুসফুসের বাম সাবকারিনাল (subcarinal) স্থানে – বুকের নীচের দিকে যেখানে শ্বাসনালী ছড়িয়ে যায় এবং ফুসফুসের সাথে যুক্ত হয়।

 

শুরুতে ব্রনকষ্কপি আর তার সাথে এন্ডব্রনকিয়াল আল্ট্রা সাউন্ড (EBUS) পরিকল্পনা করা হয়েছিল এটা ভেবে যে রোগীর উপসর্গ অনেকটাই যক্ষ্মা বা টিউবারকুলোসিসের মত। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফুসফুসের ভেতরের ছবি তৈরি হয় আর তার আশপাশের আর সবটাই সম্ভব হয় শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে। ব্রনকস্কোপের মাধ্যমে ঢোকানো হয় (একটি সরু, ফ্লেক্সিবল টিউব) শ্বাসনালীতে ; এই পদ্ধতির মাধ্যমে ডাক্তাররা ফুসফুসের আশপাশের টিস্যু দেখা সম্ভব হয়। এর ফলে অনেক কিছু বোঝা সম্ভব হয়, একদিকে যেমন সংক্রমণ বোঝার জন্য লসিকা গ্রন্থি বা ক্যান্সার হয়েছে কিনা সেটাও বোঝা সম্ভব। শুরুতে যে এক্স রে করা হয়েছিল, সেখান থেকে কোন উপসংহারে আসা যায়নি। এরপর উচ্চ রেজোলিউশনের সিটি (CT) এইচআরসিটি (HRCT) থোরাক্স স্ক্যান করার ধরা পড়ে একটি দুই সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব স্প্রিংয়ের উপস্থিতি।

 

রোগী এবং তার পরিবার, উভয়েই এই ধাতব বস্তুর উপস্থিতির ব্যাপারে কোন রকম আলোকপাত করতে পারেননি। এর ফলে মনিপাল হসপিটালের মেডিক্যাল টিমের কাছে কঠিন ধাঁধা ছিল। শুধু তাই নয়, কিভাবে বার করা হবে সেটিও বড় প্রশ্ন ছিল।

 

ডঃ অপর্ণা চ্যাটার্জি, অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট, রেসপিরেটরি মেডিসিন, মনিপাল হসপিটাল, ব্রডওয়ে, যিনি পুরো পদ্ধতির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জানান,” এটি কোন সাধারণ কেস নয়। যখন বাইরের কিছু আমাদের ফুসফুসের নিচের দিকের অংশে কম কারণে আসে বা আঘাত করে, বিশেষ করে যখন আড়াআড়ি ভাবে সাধারণত যে জায়গায় আঘাত লাগে এরকম না হয়, তখন ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়া বেশ ঝুঁকির হয়ে পড়ে। তখন প্রয়োজন হয় খুব যত্ন সহকারে অ্যানগুলেশন এবং একাধিক বার র‍্যাট টুথ (rat- tooth) ফরসেপসের দ্বারা ওই জায়গা থেকে বস্তুটি সরানো এবং সতর্কতার সাথে বস্তুটি শরীর থেকে বাদ দেওয়া। এই ক্ষেত্রে আমরা সাফল্যের সাথে ধাতব বস্তুটি বার করে শরীর থেকে বাদ দিতে সফল হয়েছি খুব দক্ষতার সাথে এগিয়ে। খুব অল্প রক্তপাত হয়েছে যা সামলানো গিয়েছে, বিশেষ করে রোগীর স্বার্থের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ব্যাপারটা যখন।”

 

পুরো বিষয়টি নিয়ে রোগী সুফিয়ান আলী বলেন,” আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না যে আমার এরকম কিছু হতে পারে। এই অভিজ্ঞতা ভয়ানক বললেও কম নয়, যা জীবনকে থমকে দিয়েছিল। গত মাসে যখন আমার উপসর্গ গুলো আরো খারাপ হতে আরম্ভ করে, তখন আমাকে মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়েতে রেফার করা হয়, যেখানে ডাক্তাররা আমার এই অবিরাম রক্তপাতের কারণ বর করতে পারেন। ছুঁচ জাতীয় কোন জিনিস শ্বাসনালীতে আটকে গিয়েছিল। বাইরের জিনিস, যা সম্পূর্ণ অগোচরে ছিল এবং এর কারণেই গত দুই বছর ধরে এত কষ্ট হচ্ছিল। শেষমেশ ডাক্তারদের পারদর্শিতার কারণেই এই ছুঁচ জাতীয় জিনিস বার করা সম্ভব হয়েছে।”

 

গত ২৮ শে নভেম্বর ২০২৪ যখন তাকে ডিসচার্জ করা হয়, তখন তার অবস্থা অনেকটাই ভালো ছিল এবং আগে যেই সমস্যা থেকে অনেকটাই বিব্রত করেছিল, তার থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তবে যক্ষ্মা বা টিউবারকুলোসিস ধরা পড়ার কারণে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে ডঃ দেবরাজ যশ, রেসপিরেটরি মেডিসিন, মনিপাল হসপিটালের অধীনে। পরবর্তীকালে সুফিয়ান আলীকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না হয়।

দেখতে দেখতে ১২ বছরে পা রাখল স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল।

0

News Hungama:

স্বর সম্রাট রত্ন পুরস্কার পেলেন আমজাদ আলি খান, প্রায় ৪০ বছর পর উস্তাদ আমজাদ আলি খান এবং পন্ডিত স্বপ্নন চৌধুরীর বাজনায় মজল কলকাতা

দেখতে দেখতে ১২ বছরে পা রাখল স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল। দেশের অন্যতম সেরা রাগ-সঙ্গীতের উৎসব বলে সমাদৃত এই ফেস্টিভ্যাল। দেশের প্রাজ্ঞ পন্ডিত-উস্তাদরা এই রাগ-সঙ্গীতের আসরে অংশগ্রহণ করেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বর এই দুইদিন নজরুল মঞ্চে চলল স্বর সম্রাট উৎসব। এবারের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রবাদপ্রতিম সরোদশিল্পী উস্তাদ আমজাদ আলি খান। এবছর স্বর সম্রাট রত্ন পুরস্কার পেলেন তিনি। তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন আরেক বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী অমিয় রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। আমজাদ আলি খান বলেন, “এই সম্মান পেয়ে আমার সত্যি ভাল লাগছে। তেজেন্দ্র প্রতি বছর ওঁর গুরুর নামে এই যে অনুষ্ঠান করে, এর জন্য ওঁর সাধুবাদ প্রাপ্য। তবে আমি চাইব তেজেন্দ্রর প্রথম গুরু উস্তাদ বাহাদুর খাঁ’র নামেও উনি এমন কোনও অনুষ্ঠান শুরু করুন।” ৪০ বছর পর আমজাদ আলি খান এবং বিশিষ্ট তবলাশিল্পী পন্ডিত স্বপ্নন চৌধুরী একসঙ্গে মঞ্চে বাজালেন। কলকাতার কাছে এ এক বিরল অভিজ্ঞতা। বাজনা শুরু করার আগে আমজাদজী বলেন, “সারা দেশে যে ভাবে নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে, তা সত্যি দুঃখের। আমাদের দেশে দুর্গারা আজ নির্যাতিতা। তাই রাগ দুর্গা দিয়ে আমি বাজনা শুরু করব। দুর্গার কান্নাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।” এরপর দুই দিকপালের সুরের মূর্ছনায় ভাসল কলকাতা। রাগ দুর্গার পর রাগ দরবারি এবং শেষে শ্রোতাদের অনুরোধে রাগ সাহানা শোনান তিনি।


প্রতিবছর স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করেন এই সময়ের অন্যতম আরেক সরোদশিল্পী পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার এবং তাঁর পরিবার। দায়িত্বে শ্রী রঞ্জনী ফাউন্ডেশন। তেজেন্দ্র নারায়ণের গুরু স্বরসম্রাট আলি আকবর খানের নামেই এই উৎসবের নাম। পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণের কথায়, “আলি আকবর খান কী বিরাট মাপের শিল্পী তা পরিমাপ করার ক্ষমতা আমার নেই! ওঁর নামে এই উৎসব, আমি চাইব রাগ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান আরও বেশি বেশি করে প্রচার পাক। স্বর সম্রাট ফেস্টিভ্যাল শুধুমাত্র দিকপাল শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে না, নবীন প্রতিভাদের সব সময় সুযোগ দিয়ে এসেছে এই উৎসব। আমার ধ্রুব বিশ্বাস এই নবীন শিল্পীরাই একদিন দিকপাল হয়ে উঠবে। এবারেও অনেক নবীন শিল্পী তাঁদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পাবেন”।


এবারে দুই দিনের অনুষ্ঠানে শিল্পীদের চাঁদের হাট।ছিলেন পন্ডিত সাজন মিশ্র-স্বর্নেশ মিশ্র (কন্ঠ সঙ্গীত), ওঁরা শোনালেন রাগ বাগেশ্রী।  পন্ডিত কুমার বোস, পন্ডিত শ্রীনিবাস জোশী এবং ভিরাজ জোশীর মেলবন্ধন মনে রাখার মত। পন্ডিত ভিমসেন জোশীর পুত্র এবং নাতি কলকাতাকে মুগ্ধ করলেন। ওঁরা জানান, ভিমসেন জোশী কলকাতাকে ‘সেকেন্ড হোম’ মনে করতেন। তাই কলকাতা তাঁদের কাছেও খুব স্পেশ্যাল। পিতা-পুত্র রাগ মুলতানি শোনান। সরোদশিল্পী পন্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্য রাগ কাফি, পিলু বাজান। সেতার শিল্পী শুভেন্দ্র রাও শোনান রাগ মধুমন্তী এবং শেষে রাগ খামাজ। এবারে স্বর সম্রাট উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ ছিল নবীন শিল্পীদের অনুষ্ঠান। নবীন প্রতিভাবান  সরোদ শিল্পী ইন্দ্রায়ুধ মজুমদারের তত্ত্বাবধানে  পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণের শিষ্যরা সেতার এবং সরোদের যুগলবন্দি শোনান। অসাধারন ছিল সেই বাজনা। ছিলেন আরো অনেক বিশিষ্ট শিল্পীরা। এই শীতের আমেজে রাগ সঙ্গীতের ওমে দুইদিন মজে রইল গোটা কলকাতা।

পূর্ব ভারতের প্রথম মিউজিয়াম হোটেল দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালি: একটি মিউজিয়াম যেখানে আপনি থাকতে পারেন

0

News Hungama:

কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪: গত কয়েক বছরে, মিউজিয়াম হোটেলগুলি সারা বিশ্বে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যেখানে ইতিহাস জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং দর্শকরা প্রকৃত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতায় নিজেকে নিমজ্জিত করে। শিক্ষা এবং বিনোদনকে একত্রিত করে, এই আন্দোলন অতিথিদের একটি মিউজিয়াম পরিবেশে বাস করার সুযোগ প্রদান করে, যা তাদের অতীতের যুগের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক হয়, ইতিহাসকে স্পর্শযোগ্য এবং স্মরণীয় করে তোলে।

 

দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালি: একটি মিউজিয়াম যেখানে আপনি থাকতে পারেন

দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালি তার শাশ্বত সৌন্দর্য এবং অতুলনীয় আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত। পূর্ব ভারতে এই ধরণের প্রথম মিউজিয়াম হোটেল হিসাবে, এটি শহর ব্যাপী ঐতিহ্য অন্বেষণ করার এক অনন্য সুযোগ প্রদান করে। আজিমগঞ্জের সর্বোচ্চ এবং শীতলতম অংশে অবস্থিত, সম্পত্তির প্রতিটি কোণ থেকে নদীর একটি দর্শনীয় দৃশ্য পাওয়া যায়। সূক্ষ্ম প্রাচীন জিনিস সম্পত্তির এবং শিল্পে সজ্জিত, এটি তাদের জন্য একটি পবিত্র স্থান যারা বাংলার স্বর্ণযুগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে নিমজ্জিত রাজকীয় অভিজ্ঞতা সন্ধান করেন।

 

শেহেরওয়ালি সংস্কৃতির সাথে ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটিয়ে, দ্য হাউস অফ শাহরুওয়ালি বিলাসিতা এবং ঐতিহ্যের সঙ্গম। এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং ফেলে দেওয়া ঐতিহাসিক সামগ্রী গুলির অনন্য পুনঃব্যবহার ও পুনঃসংস্করণের মাধ্যমে পরিবেশের উপর সর্বনিম্ন প্রভাব ফেলে, যা জৈন দর্শনের “অপরিগ্রহ” দর্শন কে প্রতিফলিত করে। মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, সম্পত্তিটি এএসআই দ্বারা সুরক্ষিত প্রায় ৫০টি প্রধান সাইটের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য। শেহেরওয়ালি হাউসটি বিশাল স্থানবিশিষ্ট রুমে সাজানো, যা প্রধান শেহেরওয়ালি সরদার পরিবারের আদলে তৈরি, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ, একটি আরামদায়ক থাকার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

 

সম্পত্তির হৃদয়ে অবস্থিত একটি সুন্দর জৈন মন্দির। মিউজিয়াম হোটেলটি ব্রিটিশ, ডাচ, ফরাসি এবং পর্তুগিজ সংগ্রহশালা পাশাপাশি শেহেরওয়ালি, মোগল এবং বাঙালি পরিবারের ঐতিহ্য তুলে ধরে, যা নান্দনিকতা এবং কাহিনীর এক অনন্য মিশ্রণ তৈরি করে। এই শিল্পের সংমিশ্রণে প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্য হাউস অফ শাহরওয়ালী কে একটি মিউজিয়াম হোটেলে পরিণত করে, যেখানে মুর্শিদাবাদের গৌরবময় অতীতকে প্রদর্শন করা হয়।

 

একটি স্মরণীয় শেহেরওয়ালি অভিজ্ঞতা

 

দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালি ইতিহাসের পাশাপাশি মূল্যবান স্মৃতি তৈরি করার একটি স্থান। সন্ধ্যাটি এক কাপ সিটিওয়ালি চায়ের সাথে ছাদ থেকে গঙ্গার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করে কাটিয়ে দেয়। আশেপাশের রাস্তাগুলি অদ্ভুত দোকান এবং খাঁটি শহর ব্যাপী খাবারে ভরা। আমাদের নিজস্ব উদ্ভিজ্জ খামার এবং ফলের বাগান থেকে জৈবিকভাবে উত্থিত ফল এবং শাকসবজি, টেবিলে তাজা ফল এবং শাকসবজি নিশ্চিত করে; অতিথিরা শ্রী প্রদীপ চোপড়ার লেখা গবেষণা বই থেকে নাগরালি নিরামিষ খাবারের অনন্য স্বাদ প্রদর্শনের জন্য একটি রন্ধন সম্পর্কীয় যাত্রা শুরু করবেন।

 

দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালির পেছনের দৃষ্টিভঙ্গি

 

দ্য হাউস অফ শেহেরওয়ালির অস্তিত্ব প্রদীপ চোপড়ার কারণে, যিনি শেহেরওয়ালি ঐতিহ্যের একজন নিবেদিত রক্ষক। মুর্শিদাবাদের জৈন সম্প্রদায়ের মধ্যে শিকড়যুক্ত, তাঁর লক্ষ্য এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উদযাপন করা, শিল্প এবং প্রাচীন জিনিসগুলির প্রতি তাঁর আবেগের জন্য পরিচিত, তিনি এই ঐতিহাসিক বাসভবনকে একটি নিমজ্জনকারী মিউজিয়াম হোটেলের অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করেছেন।

 

পর্যটকরা আধুনিক আতিথেয়তায় শহর-ভিত্তিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাদের উত্সর্গের প্রশংসা করেন।

 

আরও তথ্যে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন www.hosheherwali.com

নেফ্রোকেয়ার ইন্ডিয়া একটি ওয়াকথন আয়োজন করে তৃতীয় বার্ষিকী উদযাপন করল

0

News Hungama:

কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪: নেফ্রোকেয়ার ইন্ডিয়া তাদের সমৃদ্ধিশীল অস্তিত্বের তিন বছর পূর্ণ করেছে। নিয়মিত ৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা কিডনিকে সুস্থ রাখে এবং এটি মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে ‘স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা, আপনার কিডনির জন্য হাঁটা’ – একটি ওয়াকথন। এটির আয়োজন করা হয়েছিল প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণকারী এবং সেলিব্রিটিদের সাথে যারা এই ধারণাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদের পদক্ষেপের সাথে মিল রেখেছিলেন। নেফ্রোকেয়ার থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে হোটেল গোল্ডেন টিউলিপে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের পর ছিল চা পর্ব এবং প্রিয় পরিচালক ডঃ প্রতিম সেনগুপ্তের একটি বার্তা। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন: নেফ্রো কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ড. প্রতিম সেনগুপ্ত; মিঃ রাম কৃষ্ণ জয়সওয়াল, মালদ্বীপের কনস্যুলেট; মিঃ অরিন্দম শীল, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক; মিসেস পিয়ালী বসাক, পর্বতারোহী; গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের পরিচালক মিঃ আশিস মিত্তল এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ইভেন্টটি ম্যাপ ফাইভ ইভেন্টস দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, নেফ্রোলজিস্ট, নেফ্রো কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ড. প্রতিম সেনগুপ্ত বলেন, “আজ আমাদের তৃতীয় বার্ষিকী, আমরা কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং এর চিকিৎসার জন্য কাজ করে তিন সফল বছর পূর্ণ করেছি। যখন একজন ব্যক্তি বিপাকীয় ব্যাধিগুলি মোকাবিলা করে তখন চিকিৎসার জন্য অনেক সময়, প্রচেষ্টা এবং অর্থ লাগে। ভারতের মতো একটি দেশের জন্য, যেটি সম্পদ-সংকুচিত, নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো কাজ করে এবং নেফ্রোকেয়ারে এটাই আমাদের জন্য মন্ত্র। লাইফস্টাইল ডিজিজ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি এবং এটি শুধুমাত্র জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিরাময় বা প্রত্যাবর্তন করা যেতে পারে। আমরা, Nephrocare-এ, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রতিদিন ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা আমাদের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে। আজ নেফ্রোকেয়ার ইন্ডিয়ার এই দ্বিতীয় বার্ষিকীতে, আমরা সারা দেশে আমাদের উপস্থিতি প্রসারিত করে কিডনি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে চাই এবং আগামী বছরগুলিতে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জীবনকে স্পর্শ করার জন্য ৩০০টি ব্যাপক এবং সামগ্রিক কিডনি যত্ন ইউনিট স্থাপন করতে চাই।”

নেফ্রোকেয়ার রোগীদের একটি অনন্য উপায়ে চিকিৎসা করে, এবং এর লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যাপক এবং সহানুভূতিশীল যত্ন প্রদান করা। সমস্ত নির্ণয় এবং চিকিৎসার সিদ্ধান্তগুলি প্যাথলজি এবং ল্যাবরেটরি রিপোর্টিং এর উপর ভিত্তি করে অনেক যৌক্তিক অনুমান সহ যোগ করা হয়, মানবদেহকে তার সমস্ত কার্যকারিতা রৈখিক বোধগম্য ফ্যাশনে বিবেচনা করে কারণ প্রত্যেকের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিটি প্রাণীরই একটি শারীরিক দেহ রয়েছে পাশাপাশি একটি মানসিক দেহ এবং একটি অসীম শক্তির দেহের সাথে আধ্যাত্মিক দেহ রয়েছে। আমাদের ল্যাবরেটরি টেস্ট আমাদের শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে তথ্য দেয়, কিন্তু যে কোনো রোগাক্রান্ত অবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান আমাদের অস্তিত্বের অন্য তিনটি রূপের মধ্যে বিদ্যমান। সেই ডোমেনে পৌঁছানো প্রায়ই উপেক্ষিত হয় বা বেশিরভাগই চিকিৎসার পাঠ্যপুস্তকের সংজ্ঞা অনুসারে উপেক্ষা করা হয়।

 

“নেফ্রো কেয়ার ইন্ডিয়াতে আমরা রোগের এই সমস্ত দিকগুলিকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করি এবং রোগীকে সামগ্রিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। যে কেউ নেফ্রো কেয়ার ইন্ডিয়াতে যান, এটি আমাদের নীতি যে সমস্ত ডাক্তার এবং যত্নশীল ব্যক্তিরা একজন পরিবারের সদস্য হিসাবে আচরণ করে এবং যাকে তারা তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালবাসে তার জন্য তারা যা করবে তা করবে”।

 

উন্নত রেনাল কেয়ার ইনস্টিটিউট, যা প্রখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট, ভারত জ্যোতি পুরস্কারপ্রাপ্ত, ডাঃ প্রতিম সেনগুপ্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, গত বছর একটি মাসকটও চালু করেছিল- এই উপলক্ষে “মিস্টার নেফ্রোকেয়ার” সাধারণ মানুষের সাথে সংযোগ তৈরি করতে এবং বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে। কিডনির স্বাস্থ্য, কিডনির যত্নে ফোকাস করার প্রয়োজনীয়তা, অসঙ্গতিগুলির প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং প্রবেশের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করার গুরুত্ব কিডনি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সামগ্রিক চিকিৎসার জন্য। মাসকট কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দিনের বেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করে।

 

নেফ্রোকেয়ার: একটি সহানুভূতিশীল কিডনি যত্ন ইনস্টিটিউট: নেফ্রো কেয়ার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড হল সবচেয়ে সম্মানিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি যা সবচেয়ে নিবিড় কিডনি রোগের রোগীদের যত্ন নেওয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, বিশিষ্ট এবং উল্লেখযোগ্য নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ প্রতিম সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে।

 

কিডনি রোগ: একটি নীরব মহামারী: কিডনি রোগ একটি নীরব মহামারী এবং ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রেনাল ব্যর্থতার রোগীদের তথ্য রয়েছে। ১১ জনের মধ্যে ১ জন ভারতীয় রেনাল ফেইলিওরের শিকার হতে পারে। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ব্যর্থতার প্রধান কারণ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ৩০% তাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী রেনাল ফেইলিওরের শিকার হন। পেইনকিলারের অপব্যবহার ভারতে রেনাল ব্যর্থতার ৩য় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। রোগটি তার প্রাথমিক পর্যায়ে নীরব থাকে তবে কিডনির কার্যকারিতার ৭০% নষ্ট হলেই উপসর্গ দেখা দেয়। প্রতি বছর ২ লাখেরও বেশি লোক এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ (ESRD) তালিকায় যুক্ত হয়, যাদের জীবন ধরে রাখতে ডায়ালাইসিস সহায়তা প্রয়োজন।

 

বার্ষিক এত বিপুল সংখ্যক রেনাল ফেইলিওর মামলা মোকাবেলা করার জন্য সীমিত সংস্থান রয়েছে। এটি অনুমান করা হয় যে প্রায় প্রতি ৭২,০০০ রেনাল ফেইলিওর রোগীদের জন্য তাদের সেবা করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে যা সঠিক রোগী পরিষেবা প্রদানে অসম্ভব। রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশন ইউনিট এবং ডায়ালিসিস সেন্টারগুলিও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য উদ্বৃত্ত নয়। প্রতিরোধ, প্রাথমিক সনাক্তকরণ, এবং ভারত জুড়ে ব্যাপক রেনাল কেয়ার সুবিধা তৈরি করা এই নীরব মহামারী মোকাবিলার একমাত্র কার্যকর উপায় যেখানে নেফ্রোকেয়ার প্রতিদিন একটি সময়ে একটি দিন তার চিহ্ন সেট করার লক্ষ্য রাখে।

 

এই বছর আমরা ৫ই জুলাই এসএমই আইপিওতে তালিকাভুক্ত হয়েছি এবং ১৫ই জুলাই থেকে মধ্যমগ্রামে আমাদের নতুন মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল (ভিভাসিটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল) শুরু করেছি।

 

‘রেডওয়াইন এন্টারটেইনমেন্ট’ এর উদ্যোগে বেঙ্গল ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্টিত হোলো

0

News Hungama :

‘বেঙ্গল ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ প্রদান করা হলো। ‘রেডওয়াইন এন্টারটেইনমেন্ট’ এর উদ্যোগে প্রথমবার এই পুরস্কার দেওয়া হলো। এই বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ার কর্মকাণ্ড যারা অন্তরালে থেকে পরিচালনা করেন, এমন কয়েকজন ব্যক্তিকে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়, আইসিসিআর এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয়।

সেরা মডেল, সেরা সুপার মডেল, সেরা গ্ৰুমার, সেরা ফ্যাশন আইকন ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অনিন্দ্য সরকার, বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী অনুপম হালদার, রেডওয়াইন এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অভিজিৎ গুপ্ত, উদ্যোগপতি সঞ্জীব বসাক ও অন্যান্যরা।

 

আলোকচিত্র শিল্পী অনুপম হালদার বলেন, আজকের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করছেন তাঁদের অনেককেই মানুষ জানেন না, বা চেনেন না। তাঁদের একটা বড় প্ল্যাটফর্ম দিল রেডওয়াইন এন্টারটেইনমেন্ট। এই পুরস্কার নতুন প্রতিভাদের আরো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ দেবে।

প্রকাশিত হলো ‘পল্লিকবি ও আদালত’ শীর্ষক স্মরণিকা

0

News Hungama :

নিজস্ব প্রতিনিধি,

শনিবার বিকেলে কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন বিধান শিশু উদ্যানে ‘পল্লিকবি ও আদালত’ শীর্ষক স্মরণিকা প্রকাশিত হলো। সেইসাথে ‘বর্ধমান সহযোদ্ধা’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান চলে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ‘কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি’র পরিচালনায় বিধান শিশু উদ্যানের অতুল্য ঘোষ স্মৃতি সভাগৃহে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি আয়োজন করা হয়েছিল।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় , রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি দিলীপ কুমার বিশ্বাস, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি মাসুদ করীম।প্রমুখ। একাধারে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের পুত্র জ্যোৎস্না মল্লিক ছিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক, কবির নাতি সুধেন্দ্রনাথ মল্লিক ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এর পাশাপাশি কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সিংহভাগ সদস্য আইনী পেশার সাথে যুক্ত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ‘পল্লিকবি ও আদালত’ স্মরণিকা উপস্থাপনা। কবির পরিবার থেকে সাহিত্যিক মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।কবিতা পাঠে ছিলেন সমরেন্দু চক্রবর্তী, সেখ আব্দুল জব্বার, দিলীপ কুমার বিশ্বাস, প্রমুখ। এদিন আইনী জনসচেতনতা কর্মসূচি পালনে সু-পরিচিত ‘বর্ধমান সহযোদ্ধা’র সংগঠনের তরফে মাননীয় বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত মহাশয় কে ‘পূর্ব বর্ধমান জেলা রত্ন সম্মান’ জানানো হয়। কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে মোল্লা জসিমউদ্দিন, বৈদূর্য ঘোষাল,সোমনাথ ভট্টাচার্য, প্রতিমা হালদার জানান -” পল্লিকবির ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা স্মরণিকা প্রকাশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম”।

প্রতিদিন মহিলাদের স্বপ্নপূরণের সুযোগ, ক্রমশই মহিলাদের ‘মুশকিল আশান’ হয়ে উঠছে “লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ”

0

News Hungama:

কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! বাংলার ঘরে ঘরে এমন কত মহিলারা এইভাবে নিঃশব্দে সংসার করে চলেছেন! শুধু রান্নাঘর সামলানো নয়, গোটা একটা পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছেন এইসব সাহসিনীরা। কিন্তু অনেকেরই সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই! না না রকমের বাঁধা বিপত্তি। তবু স্বপ্নের জাল বোনা থামাচ্ছেন না এইসব মহিলারা। দমবার পাত্রী নন কেউ এঁরা। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সমস্ত লড়াকু মহিলাদের সারা বাংলা থেকে খুঁজে খুঁজে নিয়ে এসে তাঁদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিচ্ছে সান বাংলার নতুন গেম শো “লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ”।


সান বাংলায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই গেম শো। কিন্তু এই কয়েক দিনের মধ্যেই মহিলাদের ‘মুশকিল আসান’ হয়ে উঠেছে “লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ”। এই সমস্ত সাহসিনীরা এই শো-এ আসছেন, খেলছেন, জীবনযুদ্ধের কাহিনি শোনাচ্ছেন। এই শো সঞ্চালনা করছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সুদীপ্তার কথায়, “এই শো-টার কনসেপ্টটাই এত ইউনিক, এই শো-এর মাধ্যমে আমি জীবনকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। এখানে এমন সব মহিলারা খেলতে আসছেন, তাঁদের জীবনযাপন, লড়াই-এর গল্প শুনে আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আমার-আপনার কাছে এই এক লাখ টাকাটা কত গুরুত্বপূর্ন সেটা বলতে পারব না, কিন্তু এখানে যাঁরা খেলতে আসছেন, জিতেছেন এক লাখ টাকা, তাঁদের কাছে কিন্তু এই এক লাখ টাকাটা বিরাট ব্যাপার। স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি।”


সমস্ত বাংলা থেকেই এই সব লক্ষ্মীরা খেলতে আসছেন এই শো-এ। এমনই এক লড়াকু লক্ষ্মী পুরুলিয়ার সুনীতা মাহাতো। উনি নিজে মহিলাদের নিয়ে একটি ছৌ-নাচের দল চালান। দলের নাম ‘মাতঙ্গিনী হাজরা মহিলা ছৌ-নৃত্য গোষ্ঠী’। কিন্তু যেহেতু ছৌ-নাচ মূলত পুরুষরাই করেন, তাই মহিলাদের নিয়ে এই দল তৈরি করতে প্রচুর বাঁধা পান সুনীতা। কিন্তু এক পা-ও পিছু হটেননি। সমস্ত বাঁধা-বিপত্তিকে তোয়াক্কা না করে, গ্রামে ঘুরে ঘুরে মেয়েদের বুঝিয়ে নিয়ে এসে তাদের ছৌ-নাচ শিখিয়ে শেষমেশ একটা দল তৈরি করেছেন সুনীতা। এই দল এখন সারা দেশেই শো করে। কিন্তু ছৌ-নাচের কদর ক্রমশ কমছে। এই সংষ্কৃতি ডুবন্ত।একটা গোটা দল চালানো খুব কষ্টকর। তাই  সুনীতা বলেন, “লাখ টাকা পেলে দলটা আর একটু ভাল করে তৈরি করব। মুখোশ কিনব, ড্রেস কিনব, দলটা বাড়াব।” সুনীতা আরও জানান, তাঁর দুই মেয়ে,এই দুই মেয়েকেও তিনি এই দলে নিয়ে আসবেন,  পরম্পরা না থাকলে যে ছৌ-নাচ, এই দল একদিন হারিয়ে যাবে!

আরেক লক্ষ্মী হলেন মধ্যমগ্রামের মামনি দাস। ছোট থেকেই মামনি পরিশ্রম করতে ভালোবাসেন। কখনো ফুটপাতে বসে পেন বিক্রি করেন, আবার কখনো কাঁচের অ্যাকুরিয়াম তৈরি করেন। মামনি খুব রসিক প্রকৃতির মহিলা, সব সময় তার মুখে একরাশ হাসি লেগেই থাকে। মেয়েকে ওকালতি পড়ানোর জন্য নিজের বাবা মার দেওয়া সমস্ত সোনার গয়না বন্ধক রেখে নিজের জন্য একটা অটো কেনেন, সকালে সংসারের কাজ সেরে অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন, বিকেলে বাড়ি ফিরে পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর পর আবার মধ্যরাত পর্যন্ত কাঁচের অ্যাকুরিয়াম তৈরি করে হাটে বিক্রি করেন। এইভাবেই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে মামনির দিন কেটে যায়। মামনির ইচ্ছে,  এক লাখ পেলে সোনার গয়না গুলো ছাড়িয়ে এনে মেয়েকে ওকালতি পড়াবেন।

এই ভাবেই প্রতিদিন স্বপ্নপূরণের জাল বুনে চলেছে সান বাংলার “লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ”। এই খেলার আরেক বিশেষত্ব হল, চারটে রাউন্ডে খেলা হয়, প্রতি রাউন্ডেই টাকা জেতার সুযোগ। লাখ টাকা কেউ না জিতলেও খালি হাতে কেউ বাড়ি যাবেন না এই শো থেকে। সন্ধ্যে ছটা বাজলেই বাংলার ঘরের লক্ষ্মীদের এখন চোখ তাই ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ”-এ।

“মহাযোগী”, যারা ধর্মের নামে লড়াই করছে তাদের ভালবাসার বার্তা দিতে, ১৩ ডিসেম্বর সিনেমা হলে আসছে।

News Hungama:

কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪: ঈশ্বর মানবজাতিকে অনেক ভালোবাসা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তার নিজের ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি মানুষে খুঁজে পান। কিন্তু, ঈশ্বর কি মানুষের মধ্যে ধর্ম ও রাজনীতির নামে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে দেখে খুশি হবেন? কখনো না বন্ধুরা। আজ ঈশ্বরের চোখে অশ্রু রয়েছে। এমন এক পৃথিবীতে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও গৃহহীন, কোটি কোটি শিশু রাস্তায় ক্ষুধার্ত হয়ে ঘুমায়, সেখানে, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, সব ধর্ম একে অপরকে শত্রু মনে করছে। জাতিগত ভেদাভেদ, বর্ণবাদ, জাতীয় বৈষম্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চারিদিকে অশান্তি, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র আর প্রাণহানি।

এমন পরিস্থিতিতে, পৃথিবীর গভীরে রাগের একটি আগ্নেয়গিরি ফেটে পড়ছে। সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ, কোথাও সুনামি, কোথাও মহামারি, কোথাও ভূমিকম্প, কোথাও বন্যা। প্রকৃতির সঙ্গে হস্তক্ষেপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কোথাও গাছ কাটা হচ্ছে, কোথাও পাখি ও পশু হত্যা হচ্ছে, কোথাও দূষণের কালো ধোঁয়া, কোথাও ভাইরাসের বিস্তার মানবজাতির জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

আজ, সর্বত্র অশুভ শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। মানুষ ভুলে গেছে যে সে ঈশ্বরের অবতার। এমন পরিস্থিতিতে, মহাযোগী এসে আমাদের সকলকে বলছেন যে, এখন আর এভাবে চলবে না। এখন মানবতার জাগরণের সময়। কলিযুগ তার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং মাতা ধরিত্রী, প্রকৃতি, পুরো মহাবিশ্ব এবং স্বয়ং ঈশ্বর এখন অশুভ শক্তিকে দমন করার জন্য প্রস্তুত। মহাযোগী আমাদের সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যে আমরা ধর্ম, সামাজিক এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, শান্তি এবং বিশ্ব ঐক্যের পথে চলতে পারি। তবেই কলিযুগ শেষ হবে এবং সৎ যুগ শুরু হবে।

প্রযোজক ও পরিচালক রাজন লুথরা তার ছবি “মহাযোগী হাইওয়ে ১ টু ওয়ান এস” এর মাধ্যমে ঈশ্বরের সেই একই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন যে, ঈশ্বর শুধুমাত্র তাদের ভালোবাসা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতির মধ্যে বাস করেন, আর কোথাও নয়।

ঈশ্বরের বার্তা নিয়ে আসা মহাযোগী, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ এ আপনার নিকটবর্তী সিনেমা হলে আসছেন। এই সিনেমাটি আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভারতের হরিদ্বার ও কেদারনাথের সুন্দর স্থানগুলোতে শুটিং করা হয়েছে।

হলিউডের এই ছবিটি নির্মাণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রোডাকশন হাউজ ট্রিলোক ফিল্মস ইনকরপোরেশন। ছবিটি দর্শকদের জন্য একটি চমৎকার বার্তা এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করবে। এটি তাদের চোখ খুলে দেবে এবং জীবন ও পৃথিবী সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করবে।

প্রিন্স মুভিজের রাকেশ সাভারওয়াল ছবিটি সারা ভারত জুড়ে মুক্তি দিচ্ছেন। এই হলিউড ছবিটির মাস্টারমাইন্ড রাজন লুথরা যিনি এটি লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই ছবির পরিবেশক হলেন এস এস আর সিনেমা প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা মিঃ সতদীপ সাহা।

ইতিহাস ও আশার মিশেলে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, মনিপাল হসপিটাল গ্রুপের অন্তর্গত, কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে আয়োজন করল মেগা সিপিআর ট্রেনিং প্রোগ্রামের

News Hungama:

৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪, কলকাতা: মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, মনিপাল হসপিটাল গ্রুপের একটি অংশ, ভারতীয় জাদুঘরের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে একটি মেগা সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিয়েশন) ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয় ঐতিহাসিক ভারতীয় জাদুঘরের চাতালে। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হল একটি সিপিআর (CPR) কমিউনিটি তৈরি করার। এই সিপিআর (CPR) ট্রেনিং সেশন শুরু হয় সকাল এগারোটা থেকে, সুপারভাইস করেন ডঃ ইন্দ্রনীল দাস, ইমার্জেন্সী বিভাগ, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এবং অ্যালুমনাস আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটরশিপ লিডারশিপ প্রোগ্রাম ( আইভিএলপি)। এই সেশন গুলোয় আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ভলেন্টিয়ার পেয়েছি যেমন সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুল, হাওড়া, ডগলাস মেমোরিয়াল স্কুল, সেন্ট সেবাস্তিয়ান স্কুল, অ্যানেক্স কলেজ, আদিত্য একাডেমি সিনিয়র সেকেন্ডারি, দমদম, আদিত্য একাডেমি সেকেন্ডারি, বারাসাত এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা – সাপগাছি হিউম্যানিটি ফর ইউ এন্ড মি (হাম)। এই ইভেন্টে মাননীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন নাকাগাওয়া কৈচি, জাপানি কনসাল জেনারেল ।

ডঃ অয়নাভ দেবগুপ্ত, রিজিওনাল চিফ অপারেটিং অফিসার, মনিপাল হসপিটাল (পূর্ব), বলেন” ভারতের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ৪০০ মিনিট পর হসপিটাল এসে পৌঁছান, বিশেষ করে উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর। বলাই বাহুল্য, এই সময়সীমা ৩০ মিনিটের চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ১৮ মিনিটের মধ্যে যদি কোন সাহায্য না পাওয়া যায়, তাহলে যেই ক্ষতি হয়েছে, তা নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই সিপিআর (CPR) ট্রেনিং খুব জরুরি যা দরকারী সাহায্য করতে পারে যতক্ষণ না স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, কর্পোরেট অফিস এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বছরভর সিপিআর (CPR) ট্রেনিং সেশন দিয়েছি এবং আমরা চালিয়ে যেতে চাই এই প্রক্রিয়া। আমরা চাই যে যাদের আমরা ট্রেনিং দিচ্ছি, তারা যেন তাদের কাছের মানুষদের আবার ট্রেনিং দেয়। এভাবে আমাদের আশপাশে সিপিআর (CPR) স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। আজ আমরা খুবই খুশি যে ভারতীয় জাদুঘরের মত ঐতিহ্যশালী একটি জায়গায় সিপিআর (CPR) ট্রেনিং দিতে পেরেছি এবং তাদের কাছে অসম্ভব কৃতজ্ঞ তাদের সাহায্যের জন্য। আজ যেই রেসপন্স বা প্রতিক্রিয়া আমরা পেয়েছি, তাতে সত্যি অভিভূত এবং সামনের দিনে আরো এরকম একসাথে কাজ করার ইচ্ছে থাকবে।”

জীবন বাঁচানোর শিক্ষা নিয়ে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, মনিপাল হসপিটাল গ্রুপের অন্তর্গত, কলকাতায় ইতিমধ্যেই ২০০০ এর উপরের মানুষকে ট্রেনিং দিয়েছে। ভারতীয় জাদুঘরের অসাধারণ সুন্দর চাতালে, যেখানে ইতিহাস ও আশা রয়েছে একাধারে, দুর্দান্ত পটভূমি হিসেবে কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এক লক্ষ্যে। ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই মুভমেন্টে যোগদান করেছেন, সবাইকে সি পি আর (CPR) রেডি করা হয়েছে এবং ইমার্জেন্সী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।

অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী, ডিরেক্টর, ভারতীয় জাদুঘর, বলেন,” এই পর্যাস আমাদের দীর্ঘদিনের ভাবনার ফল। মেডিকার সাথে যৌথ ভাবে এগিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের এখানে কর্মরত সকলকে সিপিআর (CPR) ট্রেনিং দিয়েছি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হল স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রক্ষা ও সচেতনতার দিকটি তুলে ধরা। আমরা জানি যে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে দেরি হলে স্বাস্থ্যের দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সাহায্য হৃদরোগে আক্রান্ত বা অ্যাক্সিডেন্ট এর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। আজ, সব মিলিয়ে দশটি প্রতিষ্ঠান হাতে হাত মিলিয়ে এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম করতে সাহায্য করেছে। তারা যোগদান করায় আমরা সত্যি আপ্লুত। যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা আজ এই সিপিআর (CPR) ট্রেনিং পেয়েছে, তারা বাড়িতে কোন আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে আগের

 

 

চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম। আমরা মেডিকার সাথে এই ক্ষেত্রে এক যোগে কাজ করতে পেরে খুবই খুশি। আমরা আশা রাখছি যে সামনের দিনে এরকম আরও অনেক প্রোগ্রাম করতে পারব।”

এই পুরো প্রোগ্রাম নিয়ে বলতে গিয়ে ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য, ডেপুটি ডিরেক্টর, ভারতীয় জাদুঘর, কলকাতা ( সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকার), বলেন,” ভারতের সবচেয়ে পুরনো আর সবচেয়ে বড় জাদুঘর, ভারতীয় জাদুঘর, কলকাতা অনন্য সংস্কৃতির দিক থেকে আবার সাধারণ সচেতনতার দিক থেকেও। আমাদের দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা যেরকম আমরা করে চলেছি, সেই ভাবেই আমরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে বিভিন্ন দক্ষতা ও জ্ঞানের দিকটি তুলে ধরছি। এই বছরেই এর আগে আমরা মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের সাথে যৌথভাবে একটি বিএলএস (BLS) ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছিলাম আমাদের সকল স্টাফের জন্য, যা ভীষণ ভাবে সফল হয়েছিল। সেই সাফল্যের ধারা এগিয়ে রেখেই আজকের সিপিআর (CPR) ট্রেনিং প্রোগ্রাম ভীষণ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই প্রোগ্রাম আবারও তুলে ধরে আমরা কিভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠানকে তুলে ধরি এবং সাধারণ মানুষকে জীবন বাঁচানোর মত দক্ষতা মূলক কাজের ক্ষেত্রে পারদর্শী করে তুলি।”

পঞ্চাশের কম বয়স, অথচ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে, এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে অনেকটাই বেড়েছে। তিরিশের বা চল্লিশের ঘরে সেলিব্রিটিদের মধ্যে এই রকম ঘটনা সচেতনতা এনেছে কিছুটা এবং পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার দিকটি আরো প্রকট হয়েছে। ক্লিনিকাল স্পেশালিস্টদের কথা অনুসারে, সিপিআর (CPR) সঠিক ভাবে করা মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হতে পারে। তাই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে একটি ক্রিটিক্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা সত্যি খুব প্রয়োজনীয়।